সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা এবং এর সাথে আদান প্রদান করা বৈধ কি?

সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা এবং এর সাথে আদান প্রদান করা বৈধ কি?

এতে যে কোন চাকুরী করা হারাম।
যেহেতু এতে চাকুরী করার অর্থই হল সূদের উপর সহায়তা করা। অতএব যদি সূদী কারবারের উপর সহায়তা হয়, তাহলে সে (চাকুরে) সহায়ক হিসেবে অভিশাপে শামিল হবে।

নবী (সঃ) বলেছেন ;
সুদখোর, সুদদাতা, তার সাক্ষিদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং
বলেছেন, “ওরা সবাই সমান।”
(মুসলিম ১৫৯৮ নং)।

পক্ষান্তরে এ কাজ যদি সুদী কারবারের উপর সহায়ক না হয়, তাহলেও উক্ত কারবারে তার সম্মতি ও মৌন সমর্থন
প্রকাশ পায়। তাই সুদী ব্যাংকে কোন প্রকার চাকুরী নেওয়া বৈধ নয়। অবশ্য প্রয়োজনে ওই ব্যাংকে টাকা জমা রাখায় ক্ষতি নেই— যদি ওই সমস্ত ব্যাংক ছাড়া টাকা জমা রাখার জন্য আমরা অন্য ভিন্ন কোন নিরাপদ স্থান না পাই। তবে এই শর্তে যে, তা থেকে যেন কেউ সুদ গ্রহণ না করে। যেহেতু সুদ গ্রহণ অবশ্যই হারাম।
—(ইবনে উসাইমিন)।
===============
ব্যাংকের সুদ হারাম। কিন্তু তা কি ব্যাংকেই ছেড়ে দেব, নাকি তুলে নিয়ে কোন
কাজে লাগাব? অন্যান্য হারাম মাল থেকে হালাল মালকে পবিত্র করার উপায় কি?

ব্যাংকের সুদ ব্যাংকে ছেড়ে দিলে তা অবৈধ পথে অথবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় হতে পারে। সুতরাং তা তুলে নিয়ে
নিঃস্ব মানুষদের মাঝে সওয়াবের নিয়ত না রেখে বিতরণ করে দেওয়া কোন জনকল্যাণমূলক কর্মে ব্যয় করা যায়। হারাম উপায়ে উপার্জিত মাল ও তওবার পরে
উক্তরূপে ব্যয় করা যায়।
( ইবনে জিবরীন)।

গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক/সংকলকঃ
আবদুল হামীদ ফাইযী।

ব্যাংকের চাকরি করার বৈধতা ও অবৈধতা নির্ভর করে ব্যাংকটি সুদভিত্তিক বা সুদ মুক্ত হওয়ার উপর।
ব্যাংক সুদ মুক্ত হলে, তাতে চাকরি করা নিঃসন্দেহে জায়েয। পক্ষান্তরে ব্যাংক সুদী হলে, তাতে চাকরি করা নিঃসন্দেহে নাজায়েয।

হযরত জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

অর্থাৎ, আল্লাহর রসূল (সাঃ) সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ‘‘ওরা সকলেই সমান।’’ (মুসলিম ১৫৯৭নং মিশকাত ২৪৪ পৃঃ)

আপনার মতামত দিন