ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?

ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?>>>>>======================বাংলাদেশকে যেমন ডিজিটাল করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই কিছু সুদি মহল সুদকে ডিজিটাল শব্দব্যবহার করে সমাজে নারীর ইজ্জত লুন্ঠন আর জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে।★কিছু লোক # মাল্টিপারপাছনামে সুদি কারবার করছে আর সেটাকে হালাল মনে করছে যাখুবই নিকৃষ্ট কাজ।আরেকটি ডিজিটাল সুদের নামহলো #কিস্তি , যার প্রভাব এতভয়ানক ভাবে বিস্তার করেছে যেমনে হয় ডিজিটাল বাংলাদেশে আনুমানিক বেশির ভাগ মানুষএই ডিজিটাল সুদে জর্জরিতহয়ে পরেছে। এই সুদ নেওয়া দেওয়ার প্রক্রিয়া এমন হচ্ছে যেযদি সময় মত কিস্তি না দিতে পারে,
তাহলে এমন কি নারীর ইজ্জত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে,ইজ্জত তো লুন্ঠন করছেই সাথেডিজিটাল সুদও দিতে হচ্ছে।কেউ এই সুদ দিতে গিয়ে নিজেরকিডনি বিক্রি করে দিচ্ছে,কেউ অপমানিত লানচিত হচ্ছেহে সুদি মহল তোমাদের দিক্কার!!! তোমরা দারিদ্রবিমোচনের নামেদেশের মধ্য অশ্লিয়তা, নারীকে পর্দার বাহির, তাদের ইজ্জত নিয়েছিনিমিনি খেলছো। তোমাদেরসাবধান করছি, যারাই এই সুদিকারবারে জরিত,, তোমরা সবাইতওবা করো আর এই ভন্ডামি সুদের অপকারিতা বুযার চেষ্টা করো।যেই রব তোমাকে সৃষ্টি করেছে, তার আদেশ মান্য করো তার গোলামি করো, তাহলেসেই রবতোমার চাহিদা পুরুন করবে ইনশা আল্লাহ্।======================# সমস্ত_প্রকার_সুদ_হারাম_হারাম !!!!

!আল্লাহ তাআলা সুদকে সর্বতোভাবে কঠোররূপে হারাম গণ্য করেছেন এবংসুদখোরদের বিরুদ্ধে তিনি ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করে মানবজাতিকেভীতিপ্রদর্শন করেছেন।# তিনি আল্লাহ্ বলেন:(((অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (লোকদের নিকট) তোমাদেরসুদের যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও— যদি তোমরা ঈমানদার হও।আর যদি তোমরা এরূপ না কর (সুদ না ছাড়) তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে যুদ্ধঘোষণা কবুল করে নাও।কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। তোমরা কারো উপরঅত্যাচার করবে না এবং নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না।((সুরা বাকারা ২৭৮ ২৭৯)))আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত; নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,ﺍﻟﺮﺑﺎ ﺳﺒﻌﻮﻥ ﺟﺰﺀﺍ ﺃﻳﺴﺮﻫﺎ ﺃﻥ ﻳﻨﻜﺢ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺃﻣﻪ .‘‘সুদ (পাপের দিক থেকে) ৭০ প্রকার।এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট (পাপের) সুদ হলমায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করা! (অর্থাৎ সুদ খাওয়ার গোনাহ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার চেয়ে৭০ গুণ বেশী।)((((ইবনে মাজাহ ২২৭৪, হাকেম ২/৩৭, মিশকাত ২৪৬ পৃ)))ফিরিশতার হাতে গোসল লাভকারী সাহাবী হানযালার পুত্র আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ)বলেছেন,ﺩﺭﻫﻢ ﺭﺑﺎ ﻳﺄﻛﻠﻪ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻫﻮ ﻳﻌﻠﻢ ﺃﺷﺪ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺳﺘﺔ ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ﺯﻧﻴﺔ .অর্থাৎ ‘‘জেনে শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়ার গোনাহ আল্লাহর নিকট ৩৬ বার ব্যভিচারকরার চেয়েও বড়।((মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৫দারাকুত্বনী ২৯৫নং সিলসিলাহ সহীহা ১০৩৩নং মিশকাত ২৪৬ পৃ)))★★======================#

সুদ_খোরের_প্রতি_অভিশাপ# আল্লাহ তাআলা বলেন :﴿ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑﺎ ﻻ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﴾অর্থাৎ, যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই অবস্থায় উঠবে যে অবস্থা হয় একজন শয়তান(জিবন) পাওয়া লোকের।তাদের উক্তরূপ হাশর হওয়ার কারণ এই যে, তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতই! অথচ আল্লাহব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।★ (সূরা বাক্বারাহ ২৭৫ আয়াত)# হযরত জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ ﺁﻛﻞ ﺍﻟﺮﺑﺎ ﻭﻣﻮﻛﻠﻪ ﻭﻛﺎﺗﺒﻪ ﻭﺷﺎﻫﺪﻳﻪ، ﻭﻗﺎﻝ : ﻫﻢ ﺳﻮﺍﺀ .অর্থাৎ, আল্লাহর রসূল (সাঃ) সুদখোর,সুদদাতা,সুদের লেখকএবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন,আর বলেছেন,‘‘ওরা সকলেই সমান।((((((মুসলিম ১৫৯৭নং মিশকাত ২৪৪ পৃঃ)))))======================# প্রিয় ভাই মুসলিম!এবার চিন্তার বিষয় এই যে, সেটা কি এমন জিনিস যার ব্যাপারে এত বড় ধমক ও তিরস্কার শুনানোহয়েছে।তার প্রকৃতত্ব কি?তা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে ও জিনিসে হয়ে থাকে?তা এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কি?জাহেলিয়াতের যুগে কি কি প্রকার সুদী কারবার যা কুরআন ও সুন্নাহতে নিষিদ্ধ হয়েছে?এ সকল বিষয়ে অবগত হওয়া একান্ত জরুরী; যাতে মুসলিম সে সব থেকে দূরে থাকতেপারে।======================সুদ তো সুদই যে কোন ডিজিটাল নামই হোকনা কেন।তাই চলুন সুদকে বর্যন করি হালালভাবে ব্যবসা করি।★হে আল্লাহ তোমি আমাদেরসেই তৌফিক দান করো।

আপনার মতামত দিন