সুদী ব্যাঙ্কে যারা চাকরী করছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরী খুজুন-

সুদী ব্যাঙ্কে যারা চাকরী করছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরী খুজুন-

১- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীগণকে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসলিম-১৫৯৭)

২- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, জেনে শুনে মানুষের মাত্র ১ দিরহাম খাওয়া সুদ আল্লাহর নিকটে ৩৬ বার ব্যভিচার অপেক্ষা অধিক গুরুত্বর। (মুসনাদে আহমাদ-৫/৩৩৫, সহিহুল জামে-৩৩৭৫)

৩- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, সুদ খাওয়ায় রয়েছে ৭০ প্রকার পাপ। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাপ হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার মত। (সহিহ ইবনে মাজাহ-১৮৪৪)

শুধু চাকরিজীবী নয়, সুদী ব্যাঙ্কে টাঁকা রেখে যারা সুদ গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রেও একই বিধান। যদি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক না থাকে আর টাকার নিরাপত্তার জন্য রাখতে বাধ্য হন তবে সুদের অংশ ব্যাংক থেকে নিবেন তারপর সুদের অংশটা ফকির-মিস্কিনের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে এই হারাম থেকে বাচবেন। সুদের অংশটা ব্যাঙ্কে না রেখে তুলে নেওয়ার কারণ হচ্ছে- ব্যাঙ্কে যদি ছেড়ে আসেন তবে এর মাধ্যমে সুদী ব্যাংক উপকৃত হবে, এতে করে খারাপ কাজে সাহায্য করা হয়ে যাচ্ছে আর যেটা নিষেধ তাই এমন বাধ্য হলে সুদের অংশটা তুলে নিয়ে ফকির-মিস্কিনের মধ্যে বিলিয়ে দিবেন।

আপনার মতামত দিন